নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি – শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের বাড়ির ঢিল ছোড়া দুরত্বে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর কাণ্ড। এক যুবকের রক্তমাখা দেহ বাড়ির বাইরে ঝুলিয়ে দিয়ে গেল দুষ্কৃতিরা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়িতে।
যা জানা যাচ্ছে, সোমবার সকালে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রীতিলতা রোডে একটি আবাসনের ভেন্টিলেশনের সঙ্গে কেবল তার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। যদিও যুবকের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। যুবক ওই এলাকার বাসিন্দা নয় বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। এদিন সকালে কাজে যাওয়ার সময় রক্তমাখা যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশী আবাসনের এক যুবক। এমন ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন তিনি। সাথে সাথে স্থানীয়দের খবর দেওয়া হয়।
তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। মৃত যুবকের নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই যুবককে অন্য কোথাও খুন করে তার রক্তাক্ত দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে এখানে। ঘটনাস্থলের আশেপাশে একাধিক রক্তের দাগ চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এই খুনের পিছনে একাধিক লোক জড়িত রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।
কেননা দেহটি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া ও ভেন্টিলেশনের সঙ্গে তার দিয়ে ঝোলানো একার পক্ষে সম্ভব নয়। অপরাধীদের সন্ধানে আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ জোগার করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এদিকে এই রকম হাড়হিম করা ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, “খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। শিলিগুড়ি শহরের আইন শৃঙ্খলা প্রতিদিন ভেঙে পড়ছে। ভেঙে পড়ার কারণ হিসেবে বিধায়কের অভিযোগ পুলিশকে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে শাসক দলের বিভিন্ন অপরাধ ঢাকা দিতে। ফলে পুলিশ ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। তার সুযোগে দুর্বৃত্তদের অত্যাচার বেড়ে গেছে। এমনকি বিধায়ক এও দাবি করেছেন, এই ধরনের ঘটনা উত্তরোত্তর বাড়বে বই কমবে না। কেননা যে সরকার এখন শাসন কাজ চালাচ্ছে তারা কি রকম সবাই জানে”। আপাতত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ।