নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা – যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল বঙ্গের পরিস্থিতি। এই ঘটনায় সামনে এসেছে র্যাগিং তত্ত্ব। গ্রেফতার হয়েছে প্রাক্তনীসহ মোট ১৩ জন। এই ঘটনার তদন্তে উঠে আসছে একেরপর চাঞ্চল্যকর তথ্য। এদিন আরো এক তথ্য সামনে এল। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে তৈরি হয়েছিল ‘সৌরভ বাঁচাও’ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। এই গ্রুপেই কষে ফেলা হয়েছিল ঘটনা থেকে বের হবার ছক।
সূত্রের খবর , প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়ার ঝাঁপ দেবার পর সৌরভ আলাদা করে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেন। যার নাম ছিল ‘জেইউএমইএইচ‘। এই গ্রুপেই মূলত পুলিশের সামনে কে কি বলবে, কতটা বলবেন তা ঠিক করে দিতেন মূল অভিযুক্ত সৌরভ। পরে অবশ্য সেই গ্রুপ ডিলিট করে দেওয়া হয়। পুলিশ দুটি ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে।
এদিন আলিপুর আদালতে যাদবপুর কান্ড মামলার শুনানি ছিল। এদিনই আদালতে সরকারি আইনজীবী সওয়াল করেন, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পরই ‘জেইউএমইএইচ’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলেন সৌরভরা। সেখানেই পুলিশই জেরায় কে কী বলবেন সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই গ্রুপ ডিলিট করে দেওয়া হয়। আর শুনানি শেষে সৌরভ চৌধুরীকে জামিনের আবেদন খারিজ করে আটদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত।
প্রসঙ্গত , গত ৯ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের ব্যালকনি থেকে পরে গিয়ে মৃত্যু ঘটে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের। এই ঘটনায় মুল অভিযুক্ত হিসেবে নাম এসেছে সৌরভের। এজন্য আরও ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে হোস্টেল সুপার ও ডিন অফ স্টুডেন্টকে। তদন্তে এই মৃত্যুর কারণ হিসেবে র্যাগিংয়ের কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে এই বিষয়ে সহমত পোষণ মানবাধিকার কমিশনও।