নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা – গত ৯ আগস্ট যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিং তত্ত্ব সামনে এসেছে। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে ফের আলোচনায় এল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং যুগ্ম রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠি পাঠানোর অভিযোগ নিয়ে শোরগোল। ওই চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই আধিকারিককে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। আর এই হুমকির চিঠি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক অধ্যাপক রানা রায়ের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর , যাদবপুরে রেজিস্ট্রার এবং যুগ্ম রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় মুল অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীকে ফাঁসানো হয়েছে। এমনকি হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যাতে অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীর কিছু না হয়। যদি কিছু হয় তাহলে গুলি করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে। অকথ্য ভাষায় জয়েন্ট রেজিস্ট্রার, রেজিস্ট্রারকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজও দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রানা রায় নামে একটি সইও। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই যাদবপুর থানায় অভিযোগও করেছে যাদবপুর কর্তৃপক্ষ।
ওই হুমকি চিঠির একটিতে বলা হয়, “সৌরভ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব। সৌরভ চৌধুরীর গায়ে যদি একটা আঁচড় পড়ে তার দায় তোমাকে নিতে হবে। তদন্তের নামে সৌরভের যেন কোনও ক্ষতি না হয়।পুলিশ সৌরভের নামে মিথ্যা ৩০২ ধারা প্রয়োগ করেছে। সৌরভের গায়ে আঁচড় পড়লে তোর লাইফ খতম করব। রিভলবারের গুলিতে তোকে ঝাঁঝরা করে দেব। ইতি প্রফেসর রানা রায়।”
প্রসঙ্গত, এই হুমকি চিঠির ঘটনায় উঠে আসা অধ্যাপক রানা রায়ের আবাসন এলাইচি হাউসিং কমপ্লেক্সের এফ ব্লকে। ওই অধ্যাপকের নামে রয়েছে বহু অভিযোগ। দাবি করা হয়েছে রানা রায় নাকি হাউসিং চত্বরে মুখোশ পরে ঘোরেন। এমনকি তাঁর আবাসনের সামনে মিলেছে বহুরকমের মুখোশ। এমনকি এই রানা রায় আবাসিকদের লেটার বক্সেও ফেলতেন হুমকি, অশ্রাব্য ভাষায় লেখা চিঠি। সেই চিঠির সাথে থাকতো গর্ভনিরোধক সরঞ্জাম। এখানেই শেষ নয়। রয়েছে কিছু নিকৃষ্ট কাজের অভিযোগ।