নিজস্ব প্রতিনিধি, আলিপুরদুয়ার – শুক্রবারই পর্যটকদের জন্য এসেছে সুখবর। প্রায় তিন মাস পর ফের চেনা ছন্দে ধরা দিতে চলেছে ডুয়ার্স। পর্যটকদের জন্য খুলে যাচ্ছে গরুমারা জাতীয় উদ্যান। অর্থাৎ পুজোর আগে এ এক বিরাট সাফল্য।
এমন সময় ডুয়ার্সের ট্রেন রুট নিয়ে হয়ে গেল জরুরী বৈঠক। মূলত, ডুয়ার্সের ট্রেনরুটে হাতি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর মৃত্যু ঠেকাতে শনিবার আলিপুরদুয়ার ডিআরএম অফিসে ফরেস্ট ও রেলের উচ্চপর্যায়ের একটি সমন্বয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম অমরজিত গৌতম, পিসিসিএফ ওয়াইল্ড লাইফ উজ্বল ঘোষ সহ রেল ও ফরেস্টের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা।
দীর্ঘক্ষণের এই বৈঠকে মূলত গুরুত্ব দেওয়া হয় বন্যপ্রাণ সুরক্ষাকেই। মূলত, রাতের অন্ধকারে যখন ট্রেন দৌড়ায় ডুয়ার্সের মাঝে দিয়ে, তখন অনেক সময় হাতির পাল, অন্যান্য পশুরা রেল লাইন পারাপার করে। আর তা বুঝতে না পেরে অনেক সময় ঘটে যায় দুর্ঘটনা।
এই বিষয়কে কীভাবে আটকানো যায় তা নিয়েই হয় এদিনের বৈঠক। ডিআরএম অমরজিৎ গৌতম ও পিসিসিএফ ওয়াইল্ড লাইফ উজ্বল ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, ফরেস্ট ও রেল যৌথ মিটিং হল। শিলিগুড়ির সেবক থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত ১৬৩ কিলোমিটার ট্রেন রুটে যাতে বন্যজন্তু মারা না যায় সেদিকটা বিশেষ নজর দিয়ে দেখতে হবে।
এ ব্যাপারে আইডিএস সিষ্টেম সারা ভারতের মধ্যে এখানে কাজ করছে। কতটা ভালোভাবে কাজ করছে। আর এই সিষ্টেম আর কোথায় লাগু করা যায় সে ব্যাপারেও এদিন আলোচনা হয়। এ ছাড়া এটি নিয়ে ফরেস্ট ও রেলের মধ্যে একটি কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটি এসব দেখাশোনা করবে বলেও জানা গিয়েছে। এছাড়া রেলের কন্ট্রোল রুমে ফরেস্টের কর্মী সব সময়ের জন্য রাখা হবে। যাতে তারা আগের থেকে অ্যালার্ট করতে পারে ট্রেন চালককে।
এর আগে ট্রেনে কাটা পড়ে অনেক হাতির মৃত্যু হয়েছে। সেই সংখ্যা গত ২০ বছরে ১০০-র কাছাকাছি। যদিও গত তিন বছরে এই সংখ্যাটা কমেছে। গত তিন বছরে মাত্র ২ টি এমন ঘটনা ঘটেছে। আর সেটাও এবারে জিরো রেসিওতে আনতে চায় রেল ও বন দফতর।