নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা – বাংলায় দূরপাল্লার একাধিক ট্রেনের স্টপেজ দিল রেলমন্ত্রক। ট্রেনের নতুন স্টপেজ দেওয়ার জন্য রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাওড়া এবং শিয়ালদাহ থেকে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনের নতুন স্টপেজ দেওয়া হয়েছে একাধিক জেলায়। দীর্ঘদিন ধরে স্টপেজ দেওয়ার দাবি ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। রেলের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। এই স্টেশনগুলিতে দূরপাল্লার ট্রেন থামলে অত্যন্ত উপকার হবে সাধারণ মানুষের। কারণ এই স্টেশনগুলির সংলগ্ন এলাকা থেকে যাঁদের ট্রেন ধরতে হয় তাঁদের অনেকটা পথ যেতে হয়। সেক্ষেত্রে তাঁদের এবার অনেকটাই সুবিধা হবে।
তা তালিকায় রয়েছে কোন কোন স্টেশনে স্টপেজ?
হাওড়া পুরুলিয়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হচ্ছে ঝন্টিপাহাড়ি স্টেশনে। শিয়ালদাহ বামনহাট উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হচ্ছে মালদা জেলার কুমেদপুর স্টেশনে। হাওড়া থেকে বারবিল জন শতাব্দী এক্সপ্রেসে ঝাড়গ্রাম স্টপেজ দেওয়া হচ্ছে। উত্তর দিনাজপুর জেলায় ডালখোলায় তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হচ্ছে। হাওড়া থেকে হাতিয়া ক্রিয় যোগ এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হবে পুরুলিয়া জেলার সুসিয়া স্টেশনে। কলকাতা থেকে গোরক্ষপুর পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হচ্ছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড় স্টেশনে। এছাড়া দুমকা রাঁচি এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হবে পুরুলিয়া জেলার পুন্ডাগ স্টেশনে।
ট্রেনের তালিকা তুলে ধরে কোন স্টেশনে সেগুলি দাঁড়াবে সেকথা উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সব মিলিয়ে ৭টি ট্রেনের স্টপেজ বাড়লো বাংলায়। শুভেন্দু নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “আমি কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিজেপির সাংসদ, বিধায়করা বিভিন্ন সময়ে দূরপাল্লার ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ার জন্য যে অনুরোধ করেছিলেন, সেটাকে তিনি মান্যতা দিয়েছেন। এর জেরে সাধারণ যাত্রীদের যথেষ্ট সুবিধা হবে”। রেলের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।