নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা – এবার উপাচার্যের পদে রাজ্যপাল। উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সমস্যা মেটাতেই এবার এমন সিদ্ধান্ত নিলো রাজভবন। তবে পড়ুয়ারা নিজেদের সমস্যা মেটানোর জন্য শুধু ফোন বা মেইল মারফৎ যোগাযোগ নয়, প্রয়োজনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতেও পারবেন। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
আসলে কয়েকদিন আগেই বারাসত স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করা এক যুবক তার শংসাপত্রে উপাচার্যের স্বাক্ষর ছিল না বলে চাকরিতে যোগ দিতে পারছিল না। পরে রাজভবনের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে তার সমস্যার সমাধান করা হয়। তবে এখন রাজ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন উপাচার্যের পদ খালি। ফলে সার্টিফিকেট পাওয়া-সহ বিভিন্ন সমস্যা পরছেন পড়ুয়ারা।
আর এবার সেই সকল সমস্যার সমাধান করতেই যতদিন না উপাচার্য নিয়োগ করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে উপাচার্যের ভূমিকা পালন করবেন স্বয়ং রাজ্যপাল। এছাড়াও পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থাও করেছে রাজভবন। পড়ুয়াদের জন্য রাজভবনের পক্ষ থেকে একটি ইমেল এবং ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে ৷ যাতে ফোন করে বা ইমেল মারফত পড়ুয়ারা নিজেদের সমস্যা উপাচার্য তথা রাজ্যপালকে জানাতে পারেন। আবার তারা সরাসরি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেও তাদের সমস্যার কথা জানতে পারে।
অন্যদিকে রাজভবনের এই পদক্ষেপ মানতে নারাজ রাজ্য সরকার। এই প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন,’উচ্চ শিক্ষা দফতর, মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী কারও সঙ্গেই আলোচনা না-করে একতরফাভাবে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন রাজ্যপাল৷ আমি মনে করি রাজ্যপালের এই কাজ আইনসম্মত নয়। এই বিষয়ে আমরা সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাইছি ৷’
প্রসঙ্গত , এর আগে,রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেন আচার্য, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু সেই উপাচার্য নিয়োগের বৈধতা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল হাইকোর্টে। আদালত রায় দিয়েছে, রাজ্যপাল যে উপাচার্যদের নিয়োগ করেছিলেন তা বৈধ। যদিও এই নিয়ে এখনো রাজ্য ও রাজ্যপালের বিবাদ অব্যাহত।