নিজস্ব প্রতিনিধি , নদীয়া – একই দিনে একই সময়ে দুই জেলায় শোরুমে ফিল্মি কায়দায় ডাকাতি। মঙ্গলবার রানাঘাট ও পুরুলিয়ার দুটি সোনার দোকানে কার্যত লুটপাট চালিয়ে কোটি কোটি টাকার সোনা নিয়ে চম্পট দিল ডাকাতের দল। যার জেরে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে দুই ঘটনার জন্য তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর , মঙ্গলবার দুপুরে নদীয়ার রানাঘাটের একটি সোনার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রথমে দুজন ও পরে ৯ জন আসে। এরপর হঠাৎই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুটপাট চালায়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই দোকান সাফ করে দেয় তারা। তবে বেরিয়ে যাবার সময় গুলির লড়াই চলে। এরপরেই চার জনকে ধরে ফেলে পুলিশ। তবে বাকিরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কয়েক কোটি টাকার অলঙ্কার লুট হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এদিন এই ঘটনার পর সাংবাদিক সম্মেলনে ডিআইজি রশিদ মুনির খান বলেন, “মোট আটজনের একটি টিম ছিল, এরা প্রত্যেকে বিহারের বাসিন্দা। স্থানীয় একজন বিহারী প্রথমে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায়। তারপর এই দুষ্কৃতি টিম থেকে বিহার থেকে ডেকে আনে। আজ আজ আনুমানিক তিনটে নাগাদ তারা ক্রেতা সেজে শোরুমে প্রবেশ করে। তাদের প্রত্যেকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। খবর পেয়ে কুড়ি মিনিটের মধ্যে আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাদেরকে তাড়া করে আমাদের পুলিশও ফায়ারিং করা শুরু করে। এরপর দুইজনের পায়ে গুলি লাগে। তাদের কাছ থেকে মোট চারটি আগ্নেয়াস্ত উদ্ধার করা হয়েছে এবং ২২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি কিছু অবৈধ বাইকের নাম্বার প্লেট এবং আধার কার্ড রিকভারি করা গেছে।”
অন্যদিকে , ওই সময়ে পুরুলিয়াতেও এদিন দুপুরে সোনার দোকানে ক্রেতা সেজে লুটপাট চালায় একটি ডাকাতের দল। মোটর বাইকে করে ছয় থেকে সাতজনের একটি ডাকাত দল পুরুলিয়া শহরের নামাপাড়া ওই বহুজাতিক সংস্থার গহনার দোকানে ঢোকে এবং বন্দুক দেখিয়ে সমস্ত গয়না লুট করে নিয়ে যায়। এমনকি দোকানে থাকা সিকিউরিটিকেও বেঁধে দেয় ওই ডাকাত দলটি। আনুমানিক প্রায় ৮ কোটি টাকার মতো গয়না নিয়ে চম্পট দেয় ওই ডাকাত দল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। শুরু হয় চিরুনী তল্লাশি। এই ঘটনাতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।