নিজস্ব প্রতিনিধি, মুর্শিদাবাদ – শুক্রবার বহরমপুরে সকালে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়নে ডেপুটেশনে বাধা দেওয়ার পর সন্ধ্যায় রানীনগর থানা ঘেরাও করে থানা ভাঙচুর করল কংগ্রেস কর্মীরা। সকালে বহরমপুরের পর রানীনগরেও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দলীয় কর্মী সমর্থকেরা। অভিযোগ উঠেছে রানীনগরে গোধনপাড়া রুপায়ণ ক্লাবে কংগ্রেসের জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করেছে পুলিশ। রানীনগর থানার পুলিশ কংগ্রেস কর্মীদের গাড়ি,টোটো, ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ করেছে কর্মীরা।
কিন্তু এতো উত্তেজনার সৃষ্টি হল কেন? যা জানা যাচ্ছে, এদিন মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে ভাগীরথী মিল্ক কোঅপারেটিভ ইউনিয়নে স্মারকলিপি প্রদান করতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার পরিষদীয় বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। মুর্শিদাবাদ জেলার দুগ্ধ উৎপাদন সমিতির ব্যানারে এই অভিযান করেন তিনি। অধীর রঞ্জন চৌধুরী স্মারকলিপি প্রদান করতে যাওয়ার আগে বহরমপুরের পঞ্চানন তলা থেকে পদযাত্রা শুরু করেন এবং ভাগীরথী মিল্ক কো-অপারেটিভ ইউনিয়নে আসার আগেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মিছিল আটকানোর জন্য ব্যারিকেড করে জেলা পুলিশ। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতে পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি শুরু হয় অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। ঘটনায় উত্তেজনার পারদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।
এই ঘটনার রেশ পড়ে রানীনগরেও। রানীনগরে কংগ্রেস কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে রানীনগর থানা ঘেরাও করে কার্যত ইট পাথর ছুঁড়ে ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয় পুলিশকে। বর্তমানে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হলেও এখনই ধিকিধিকি উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। এলাকায় রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।