নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা – পুলিশ নিয়ে মিথ্যা অভিযোগে বিজেপি জোটের পঞ্চায়েতে উপসমিতি ভন্ডুল করল তৃণমূল। প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর চালালো দলীয় কার্যালয়ে। অবশেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করল পুলিশ। ঘটনায় আহত সাত গ্রামবাসী।
যা জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ব্লকের বাবুর মহল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে রীতিমত খন্ড যুদ্ধ বাঁধে পুলিশ ও বিজেপি জোটের সমর্থকদের মধ্যে। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন আট থেকে দশ জন সাধারণ মানুষ। অভিযোগের তীর শাসক দল তৃণমূল ও পুলিশের দিকে।
কয়েকদিন আগে পঞ্চায়েতের হস্তান্তর দিনে সঠিক হিসেব না দিতে পেরে পুলিশের সাহায্যে পঞ্চায়েত প্রধান পালিয়ে যায়, এমনই ঘটনা ঘটে। আজ উপসমিতির দিন বিজেপি, নির্দল, আইএসএফ জোট যথাযথ উপস্থিত হয়। পঞ্চায়েতে ইতিমধ্যেই হঠাৎ তৃণমূলের পক্ষ থেকে রটিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির দ্বারা তৃণমূলের পঞ্চায়েত একজন সমিতির মেম্বার অপহৃত হয়েছে। কুলপি থানায় এই সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
বিডিওর পক্ষ থেকে জানানো হয় আজকে কোন উপসমিতি গঠন হবে না। তৃণমূলের একজন পঞ্চায়েত সমিতির মেম্বার নেই তাই উপসমিতি গঠন হবেনা বন্ধ হয়ে যাবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকা সত্ত্বেও বিজেপি জোটের এই উপসমিতি গঠন হবে না এই খবর শোনার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা জনতা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। আগের দিনের মতো সরকারি আধিকারিকদের আটকে রাখার পরিকল্পনা করলে পুলিশ বেপরোয়া ভাবে লাঠি চালায় বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। লাঠির আঘাতে কয়েকজন মহিলার পায়ে চোট লাগে সাধারণ মানুষ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
অভিযোগ বিজেপি আইএসএফ নির্দল ও কংগ্রেসের সাত থেকে আট জন সমর্থক আহত হয়ে পড়ে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাদের অপহরণ করেছিল বিজেপি। তাই পুলিশ গিয়ে সামাল দেয় পরিস্থিতি। আপাতত এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।