নিজস্ব প্রতিনিধি , উত্তর ২৪ পরগণা – শুক্রবার রাতে পানিহাটি বেঙ্গল ক্যামিক্যালের ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট অফ ফারমাসিটিক্যাল রিসার্চে নতুন ক্যাম্পাসের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়ের। তবে তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। আর এতেই বাধল দ্বন্দ্ব। তরজা শুরু হল খড়্গপুরের বিধায়ক অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়ের মধ্যে। যা নিয়ে রীতিমত শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সূত্রের খবর , শুক্রবার পানিহাটির বেঙ্গল কেমিক্যাল ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট অফ ফারমাসিটিউক্যাল এডুকেশন এন্ড রিসার্চ সেন্টারের শিলান্যাস করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখলাল মান্ডভিয়া। তবে এখানে অনুপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌগত রায় এবং বিধায়ক নির্মল ঘোষ। আর এপ্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে খড়্গপুরের বিধায়ক অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সব ক্ষেত্রেই এরা রাজনীতি করে। রাজ্য সরকারের কোন অনুষ্ঠানে বিজেপির কাউকে ডাকে না। কিন্তু আমাদের অনুষ্ঠানে ওদের নিমন্ত্রণ করলেও ওরা আসে না। তবে না আসলেও সৌগত এবং নির্মলের নাম ফলকে রয়েছে বলে জানান হিরণ।”
আর এবার হিরণের বক্তব্যের পাল্টা দিলেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, “হিরণ চট্টোপাধ্যায় কে, কোথায় রাজনীতি করে আমি জানিনা। আমি আমন্ত্রণ পাইনি। আমাকে কেউ যেতে বলেও নি, আমন্ত্রণও করেনি।” এদিকে NIPER’এর ডিরেক্টর আর রবীচন্দ্রনের নিমন্ত্রণ করা নিয়েও সৌগত রায় বলেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এতো বড়ো মিথ্যা কথা আগে আমি শুনিনি।”
অন্যদিকে , পৌরসভার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুকে সিবিআই এর তলব নিয়ে সৌগত রায় বলেছেন ‘সুজিত বসু বলেছে সে সিবিআইয়ের সাথে দেখা করবে। এখন দেখা যাক কি হয়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের রাজ্যের মন্ত্রীকে সিবিআই তলব করা নিয়ে তিনি বলেন ‘ এ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। তার অভিযোগ ইডি, সিবিআই’কে প্রতিহিংসার জন্যই ব্যবহার করা হচ্ছে।’