নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা – গত ২৪শে আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড ২০২৩। অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”আমি প্রায় সবই ধারাবাহিক দেখি। একদিন না দেখলে ভাবতে থাকি পরের দিন কি দেখাব। একজনের তিনটে বিয়ে হচ্ছে। আমি দেখলেই বুঝতে পারি পরে কি হতে চলেছে। মজার ছলে মুখ্যমন্ত্রীর বলা সেই কথা আবার সত্যি হলো। সাংসারিক অশান্তির জেরে এবার বাপের বাড়িতেও গিয়ে শান্তি পেলো না শিমুল। ‘কার কাছে কই মনের কথা‘ তা ভেবেই এখন ব্যাকুল শিমুল।
চলতি বছর জুলাই মাসে জি বাংলায় শুরু হয়েছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিক। কিছু দিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই ধারাবাহিকটি। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাচ্ছে শিমুল অর্থাৎ মানালিকে। ধারাবাহিক যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছে তেমনি সঙ্গে সঙ্গে অনেক খারাপ মন্তব্যও পেয়েছেন ধারাবাহিকের অন্য কলাকুশলীরা।
সম্প্রতি সম্প্রচারিত ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকে দেখা গেছে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে এসেছে শিমুল। কিন্তু বাপের বাড়িতে এসেও কথা শুনতে হচ্ছে শিমুলকে। বাপের বাড়ি এসে শিমুল জানায় সে আর ফিরে যাবে না শশুরবাড়িতে। এমনকি তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও রাখবে না। একইসঙ্গে এও বলে পুতুল তাকে থেকে যাবার কথা বলেছিল। সেই কথা শুনে রেগে লাল শিমুলের বড়ো বৌদি। শিমুলকে তার বৌদি জানান , তোমাকে আসতে বললো আর তুমি অমনি চলে এলে? উত্তরে শিমুল বলে , ওই বাড়ির মত শশুরবাড়ি যদি তুমি পেতে , তবে তুমিও চলে আসতে।
এরপর ধারাবাহিকে দেখা যায় , শিমুলের মা শিমুলের থাকার ব্যবস্থা করতে বলেন। তখনই তার বড় বৌদি বলেন তার মেয়ে পড়ত, নাচ শিখত সেই ঘর তার কি হবে? তার সেই কথার উত্তরে শিমুলের মা পরিষ্কার ভাবে বলে দেয়। এ বাড়ি তার , তাই সে ঠিক করবে কে কোথায় থাকবে। বড় বৌদির এমন উক্তিতিতে শিমুল বলে তার ভাইজির সমস্ত জিনিসপত্র ওই ঘরেই থাকবে। আমি ছোটবেলা থেকে নিজের অধিকার বুঝে নিতে পারিনি , ও অন্তত বুঝে নিক। পরের দৃশ্যে দেখা যায় শিমুল তার বান্ধবীকে কাজ খুঁজে দেবার কথা জানায়। সব মিলিয়ে তীব্র চিন্তায় শিমুলের অনুরাগীরা। তাদের একটাই প্রশ্ন , এবার কি হবে শিমুলের।